Business is booming.

জবি ছাত্রীর আত্মহত্যায় তোলপাড়, ছাত্র শিক্ষক গ্রেফতার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সহপাঠী শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকী ও অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহা।

এ রিপোর্ট লেখার সময় গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ জোনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল। এর আগে ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিচারের দাবিতে দিনভর উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস। সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিতে গতকাল দিনব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ মিছিলটি ভিক্টোরিয়া পার্ক ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে শেষ হয়। এ সময় একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেন এবং ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে- ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে; অভিযুক্ত শিক্ষক দ্বীন ইসলাম ও শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনা; দ্রুত সিন্ডিকেট ডেকে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার; ভিকটিমের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী নিপীড়ন সেল কার্যকর করতে হবে।

এদিকে গতকাল সকালে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামকে সহকারী প্রক্টর ও শিক্ষকতা থেকে সাময়িক বরখাস্ত এবং অভিযুক্ত রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ বলেন, আগামীকাল (আজ) তদন্ত কমিটির প্রথম বৈঠক হবে। এরপর বিষয়টি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অবন্তিকার মৃত্যু নিয়ে মায়ের মামলা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় দুজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছেন তার মা। গতকাল রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে তিনি এ মামলা করেন। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী অফলাইনে ও অনলাইনে অবন্তিকাকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে অভিযোগ করলে তিনি অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অবন্তিকাকে নানানভাবে অপমান করে আসছিলেন।

এ বিষয়ে ওসি ফিরোজ বলেন, অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের দিকনির্দেশনা মতো যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

মতামত দিন